July 4, 2025, 8:53 pm
আরিফ রব্বানী।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নে জনবহুল ও আবাসিক এলাকা
কালাদহ গ্রামে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একটি স’মিল। এখানে রাত-দিন গাছ চেরানোর শব্দে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এই স মিলের কারণে লেখাপড়াতো দুরে থাক, ঘরে একে-অন্যের কথা পর্যন্ত শোনেন না।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, এখানে দিন ও রাতে সবসময় কাঠ চেড়ানোর ফলে স মিলের পাশে থাকা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাগাত ঘটে, তাছাড়া গভীর রাতে ট্রাকে গাছ ও কাঠ ওঠানো-নামানো হয়। গাছভর্তি ট্রাক প্রবেশের পাশাপাশি কাঠবোঝাই ট্রাকও বের হয়। এসব কাজের সময় বিকট শব্দ হয়। এ কারণে তাদের ঘুমে এবং স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে। উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি বলে দাবি করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালাদহ ইউনিয়নের কালাদহ গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র প্রভাবশালী আঃ ছাত্রার ওরফে সেলিম মিয়া ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে এই স’মিল গড়ে তুলেছেন। স্থানীয়রা জানান, ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর পার্সন হিসাবে দাবি করেন। তাই তার স মিলের লাইসেন্স না থাকলেও কেউ এটা বন্ধ করতে পারনি।
স্থানীয় তানিম, গোলাম মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন বলেন, “এই স’মিলের কারণে রাতে ঘুমাতে পারি না। গভীর রাতে ট্রাকভর্তি সরকারী গাছ এনে এই মিলে ফেলা হয় এবং তা রাতেই চেড়ানোর পর আবার ট্রাক ভরে নিয়ে যাওয়া হয়, গাছ চেড়ানো ও ফেলার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এছাড়া রাতদিন কাঠ চেরানোর শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। বারবার অভিযোগ করেও কোনও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।”
পাশের ঘরের বাসিন্দা রাসেল, মোয়াজ্জেমসহ আরো কয়েকজন বলেন, ‘মিলের শব্দে বাসায় একে-অন্যের সঙ্গে কথা বললে তা শোনা যায় না। বাচ্চাদের পড়াতে পারি না। স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও কোনও সমাধান দিতে পারছেন না তারা।
কালাদহ সমিল এর সাথেই-কালাদহ দাখিল মাদ্রাসা, কালাদহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা,মসজিদ,কমিউনিটি ক্লিনিক অবস্থিত।
যদিও স’মিল স্থাপন বিধিতে বলা হয়েছে সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটার সরকারি বনভূমি সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না এ ছাড়া সুন্দরবন থেকে ১০ কিলোমিটারের ভিতরে স’মিল স্থাপন। এ ছাড়া সকাল ৬টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে সমিল চালানো যাবে না। তবে এসব নিয়মনীতি স মিল মালিক আঃ সাত্তার মোঃনসেলিম মানছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
যেখানে আবাসিক এলাকায় লাইসেন্স দেওয়ার কোন বিধিমালা নেই সেখানে কালাদহ গ্রামের কালাদহ দাখিল মাদ্রাসা, কালাদহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা,
মসজিদ,কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথেই অবস্থিত এই স মিল মালিক আঃ সাত্তার মোঃ সেলিম মিয়া কোন খুটির জোড়ে মিল ব্যবসা চালাচ্ছেন এনিয়েও স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা সমালোচনা চলছে।